ফতোয়ায়ে আরিফ
Fatwa-e-Arif
ইনশা'আল্লাহ্! এ বইটি পবিত্র আল-কোরআনের বিধিমালা অনুসারে লিখিত মানুষের কার্যকলাপের নির্ভূল সংবিধান শাস্ত্র।
আপনাদের প্রতি আমার বিশেষ বাণী এই যে, আপাতদৃষ্টিতে এ কিতাবের অনেকগুলো ফতোয়া প্রদান (রিভিউ) আপনাদের কাছে খারাপ মনে হবে বা হতে পারে, তবুও এ কর্মগুলো কেন আমার রব সরাসরি নিষেধ করেননি, বা কী রহস্য লুকিয়ে আছে এতে, এবং কেন করেছেন; এ দু'য়ের মাঝে মানুষের কী উপকারীতা বা কী অপকারীতা রয়েছে; মূলত আমি তা বুঝতে চেষ্টা করছি বা করেছি এবং ভবিষ্যতেও হয়তো এভাবেই আমি বুঝতে চেষ্টা করবো। তাই, আপনাদের অনেকে আমার এ ধরনের কর্ম বা ফতোয়া প্রদানের বিষয়টি হয়তো নাও বুঝতে পারেন। তবে যা আপনি বুঝতে পারবেন বা পেরেছেন, তাই কমেন্টস করবেন, এতে সত্য উদঘাটনে আমার উপকার হবে। আসলে আমি বুঝে-শুনে কিতাবটি নির্ভূল ভাবে চূড়ান্ত করতে চেষ্টা করছি বা করবো এবং আমার রিভউমূলক এ ধরনের ফতোয়া প্রদানগুলো, এ কিতাবের শুদ্ধিকরণ প্রকিয়ারই একটি অংশ হিসেবে থাকবে।
আমি মনেকরি, আদেশের সাথে সাথে মান্য করা, এটা উচ্চতর ঈমান, কিন্তু এর বিপরীতে ঐ আদেশের কারণ জানা থাকলে, সেটা আরো উচ্চতর ঈমান! এবং আমার মতে, এভাবে আমার ঈমান আরো দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হবে ইনশা'আল্লাহ! আর এ জন্যেই আমার এ জানতে চাওয়া ও বুঝতে চেষ্টা করা।
আসলে এটি কিতাবটি নির্ভূল করা ও প্রকৃত সত্য লিখতে পারারই একটি অংশ ছাড়া অন্য কিছু নয়।
তাই প্লিজ আমাকে কেউ অসৎ বা আল্লাহবিমুখ বা আল্লাহর দুশমন ভাববেন না! ইনশা'আল্লাহ আসলে আমি আল্লাহু তা'আলার বন্ধু ছাড়া আর কেউ নই!
মানুষের জন্য একমাত্র সত্যধর্ম ইসলাম। আল-কুরআন এটি শুধু মুসলিমদের কিতাব নয়, এটি সকল মানুষ ও জ্বাতিসহ সকল সৃষ্টি জগতের জন্য রহমত স্বরুপ।
যেহেতু আমি আমার এ সংবিধান বা ফতোয়ার কিতাব আল কুরআন অনুযায়ী লিখেছি বা লিখতে চেষ্টা করছি, তাই আমিও এ বইকে সকল মানুষের জীবন বিধান বা কাজ-কর্মের সংবিধান হিসেবেই উল্লেখ করেছি, শুধু মুসলিমদের ধর্মীয় গ্রন্থ হিসেবে নয়।
(ফতোয়ায়ে আরিফ এর লিখকের বাণী এ পোস্টটি শেয়ার কবা যেতে পারে) তাই মহান আল্লাহু তা'য়ালার নিকট কায়মনোবাক্যে দোয়া করি, "সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। হে আল্লাহ্! তোমার কিতাব আল-কোরআন অনুযায়ী সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের সংবিধান লিখার যে উদ্দ্যেগ আমি নিয়েছি তা কবুল করিও।
আমার জ্ঞান, বিশ্বাস ও বিদ্যা-শিক্ষা অনুযায়ী এ ধরনের একটি কিতাব লিখার ও তা মানুষকে বুঝিয়ে দেয়ার বা মানব সম্প্রদায়ে তা বাস্তবায়ন ঘটানোর কোন যোগ্যতাই আমার ছিলো না।
কিন্তু বর্তমানে আমার সাথে সক্রীয় রয়েছে এক বা একাধিক বা একদল মহিলা জ্বীন। তাদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় আমি কাজটি পারবো বলে আশা করছি। যেহেতু আমার সাথে আছে হয়তো একদল মহিলা জ্বীন। আমার ধারনা মতে এ একদল মহিলা জ্বীন আমার হাতেই মুসলিম হতে চায়। আর তাই আমি বা আমরা পাচ্ছি ফেরেশতাদের সহযোগিতা।
আর আমি মনে করছি যে, যদি আমি সত্যের উপর অবিচল থাকতে পারি, তাহলে, ঐ পরী বা আমাদের সহযোগী হিসেবে ঐ ফেরেশতা ভাই বা ভায়েরাই বইটি আমার দ্বারা লিখাবেন ও সম্পাদন করবেন।
(ফতোয়ায়ে আরিফ এর লিখকের বাণী এ পোস্টটি সম্পর্কে মন্তব্য করা যেতে পারে)
মানুষের মতামত ও নিজের প্রতি নিজের আত্ম-সমালোচনা এবং এ বিষয়ক নিজের বিচার-বিশ্লেষণ অনুযায়ী আমার সাথে যে মহিলা জ্বীন ও ভালো কাজের সহযোগী হিসেবে ফেরেশতা রয়েছে বলে আমরা মনে করছি, তার প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় আমি এ মহৎ ও ইনশা'আল্লাহ মানুষের জন্য মহামূল্যবান এ কাজটি শারীরিক সুস্থতার সহিত সম্পাদন করতে চাই এবং মসজিদে হারাম শরীফের মধ্যে অবস্থান করে এ কিতাবটি চূড়ান্ত করে ও সৌদি আরব সরকারের অনুমোদন নিয়ে বিশ্বের মানব সম্প্রদায়ের নিকট প্রকাশ করতে চাই ও এর সফল বাস্তবায়ন ঘটাতে চাই।
আমি যা বুঝতে পেরেছি, ইয়া রব! তুমি দয়ালু, যার জন্য তুমি তোমার রহমতের দ্বার মানুষের নিকট উন্মোচন করেছ হয়তো; তুমি মানুষকে ক্ষমা করতে চাও, হয়তো দিতে চাও নাযাত; সে সাথে তোমার শ্রেষ্ঠত্ব ও কুদরতের কিঞ্চিত পরিচয়ও হয়তো বুঝাতে চাও মানুষদেরকে। যার জন্য আমি ও আমার স্ত্রী প্রায় উম্মি হওয়া স্বত্তেও, অনেক জ্ঞানবান মানুষের দ্বারাও যেটি প্রায় অসম্ভব, অসাধ্য; সেটিই আমাদের দ্বারা হয়তো সম্পাদন করিয়ে পৃথিবীর মানুষ ও জ্বীন জাতিকে হয়তো এই বুঝাতে চাও যে, তুমি অসাধ্যকে সাধন করতে পার; যার জন্য আমার মন ও শরীরে এভাবে তোমার অনুগত মহিলা জ্বীন ও আমাদের সহযোগী হিসেবে ফেরেশতার উদ্ভব ঘটিয়েছ।
হে আল্লাহ তোমার আজাব বড় কঠিন। জলন্ত আগুনে ও সাপ-বিচ্ছুর মুখে, চুলের মুঠি ধরে ছুড়ে মারবে তোমায় অমান্যকারীদেরকে।
যেহেতু তুমি তাদেরকে এতো কঠিন আযাব দিবে; তাই তোমার প্রতি আমার প্রার্থনা এই যে, আমার সাথে যে পরী বা পরীবৃন্দ রয়েছে তাকে বা তাদেরকে আমার পাশাপাশি আলাদা ভাবে তাঁর বা তাদের নিজস্ব শরীরে ওপেন কর। এবং কমপক্ষে একজন জ্বীনকে আমার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে (বিয়ের মাধ্যমে) জড়িয়ে দিয়ে সরাসরি তাকে বা তাদেরকে তাদের নিজস্ব শরীরে আমার পাশে ও আমার সহযোগী হিসেবে ওপেন কর। এবং বিশ্ববাসীর প্রত্যেক ব্যক্তিকে এদের দলকে বা এদের সবাইকে দেখার সুযোগ করে দাও। যাতে বিশ্বের সকল মানুষ ও জ্বীন তাদেরকে দেখতে পায়। এবং সবাই যাতে বিশ্বাস করতে বাধ্য হয় যে, তুমি জ্বীন সৃষ্টি করেছ! তুমি শয়তান সৃষ্টি করেছ! (শয়তানেরা জ্বীনদেরই একটি অভিশপ্ত জাত)। তুমি ফেরেশতা সৃষ্টি করেছ! যাতে সকলে বুঝতে পারে যে, পবিত্র কোরআনে উল্লেখিত তোমার কথা সত্য। অনেক কিছু দেখা না গেলেও; তোমার কথা কখনো মিথ্যে নয়।
এবং আমাদের এ দুইজনকে বা এ ২ জাতের সবাইকে তোমার মনোনীত দ্বীন ইসলাম যে একমাত্র সত্য ধর্ম তা বুঝিয়ে বলার, সবাইকে বুঝিয়ে দাওয়াত দেয়ার তাওফিক দাও।
(ফতোয়ায়ে আরিফ এর লিখকের বাণী এ পোস্টটি শেয়ার কবা যেতে পারে)
ইয়া রব! ইহা এ জন্য চাইতেছি যে, যাতে মানুষ জেনে-বুঝে, নিজেরাই নিজেদের ঠিকানা ঠিক করতে পারে।
দুনিয়ার কোন মানুষ বা জ্বীনই যেন, তুমি আল্লাহ্ যে সৃষ্টিকর্তা এবং তোমার হুকুম যে সবাইকেই মানতে হবে, আর না মানলে যে ভয়ানক ও কষ্টদায়ক আযাবে তুমি এ অমান্যকারীদেরকে নিপতীত করবে; অর্থাৎ তোমার পরিচয় না বুঝে দুনিয়ার একটি মানুষও যেন দোযখে না যায়। সে জন্যে তোমার প্রতি আমার এ আবেদন।
হে আমার রব, তুমি দয়ালু! তোমাকে আমরা সবাই দয়াময় বলে জানি। তোমার এক নাম রহীম এবং একনাম রহমান।
তাহলে তুমি যদি মানুষ ও জ্বীনকে এভাবে না জানিয়ে, না বুঝিয়ে, মানব ও জ্বীন জাতীর একজনকেও তোমার আযাবে নিপতীত কর, তাহলে তোমার রহমান এবং রহীম এ নামদ্বয়ের অর্থ কি আর স্বার্থক হলো? আর তাই তুমি আমার উপরোক্ত প্রার্থনা কবুল কর, ইয়া আল্লাহ!!
(ফতোয়ায়ে আরিফ এর লিখকের বাণী এ পোস্টটি সম্পর্কে মন্তব্য করা যেতে পারে)
আবার আমার মাঝে জ্বীনের আগমন, ইহা হয়তো হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) নূরের তৈরী(?), না মাটির তৈরী(?); এবং তোমাকে দেখা যায় না, জ্বীনকে দেখা যায় না, ফেরেশতা দেরকে দেখা যায় না; না দেখলে পৃথিবীর অনেক গুলো মানুষ (ও হয়তো অনেক গুলো জ্বীনও) তুমি ও তোমার এ সৃষ্টি সমূহকে বিশ্বাস করে না, বুঝতে পারে না; ফলে তোমাকে ও তোমার কালামুল্লাহ শরীফকে মিথ্যা ও ভূল প্রমাণিত করতে চায়। আজ তুমি দয়া পরবশ হয়ে মানব ও জ্বীন জাতিকে তোমার এ সৃষ্টি সমূহ জানিয়ে দিতে চাচ্ছ। অবিশ্বাসীদের প্রশ্নের উত্তর যাতে তারা খুঁজে পায়, হয়তো এ জন্যে এ ব্যবস্থা করেছ।
তুমি তোমার রহমত ও দয়ার দুয়ার হয়তো এ জন্য খুলেছ যে, মানুষ ও জ্বীন জাতি যদি তোমাকে বুঝতে পারে! যদি তারা তোমায় মানে! যদি তারা দোযখ থেকে বাঁচে! কেয়ামতের ভয়াবহ আযাব, কবর ও পরকালের ভয়াবহ আজাব থেকে যদি মুক্তি পাওয়ার কোন সুযোগ পায় তারা!
ইয়া আল্লাহ তুমি অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারো। আমার মাধ্যমে তোমার এ সৃষ্টিকে তা দেখিয়ে তাদেরকে মুক্তি দেয়ার উপায় খুঁজছ হয়তো!
ইয়া রব, তুমি দয়ালু! তোমার দয়া অসীম!
এখন আমি ভয় করছি মানুষ হিসেবে আমার এখতিয়ার নিয়ে। আমি কি তোমার সে দয়াময় ইচ্ছা অনুযায়ী আমার এখতিয়ারে যথাযথ আমল করতে পারবো!? হ্যাঁ, ইনশা'আল্লাহ আমার সাথে থাকা মহিলা জ্বীন বা পরীবৃন্দ আমায় প্রত্যক্ষ ভাবে সক্রীয় সহযোগিতা করলে, তাহলে আমার প্রাণের নবী (সাঃ) এঁর উছিলায় আশা করি পারবো।
(ফতোয়ায়ে আরিফ এর লিখকের বাণী এ পোস্টটি শেয়ার কবা যেতে পারে)
ইয়া মালিক! ইহা ঠিক যে, আমি প্রায় উম্মি, আমার স্ত্রীও উম্মি, কিন্তু আমি যদি কোন মাদরাসায় ভর্তি হই; বিশেষ করে অনলাইন কাউমি মাদরাসা গুলোতে ভর্তি হওয়ার আমার এখনো যথেষ্ট সুযোগ আছে। ইনশা'আল্লাহ আমি ভর্তি হবো। এবং তুমি তাওফিক দিলে আমি পাশও করতে পারবো। তোমার প্রতি আমার একান্তই আবেদন, আমাকে দাওরায়ে হাদীস পাশের পর কমপক্ষে ইফতা বিভাগ পাশের মাধ্যমে মুফতি হওয়ার সার্টিফিকেট অর্জন করার তাওফিক দিবে। যেহেতু আমার বয়স বেশি, তাই তুমি বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে নিজ থেকে, নিজ থেকে ভালোবেসে, আমাকে এ সার্টিফিকেট পাওয়ার ব্যবস্থা করবে।
সে সাথে আলহামদুলিল্লাহ! আমি বাংলা ও ইংরেজী পড়তে ও লিখতে জানি, কিছু কিছু আরবীও জানি এবং সিহাহ্ সিত্তার সবগুলো কিতাব ও অন্যান্য হাদীস, জ্বাল হাদীস, বিভিন্ন তাফসীর গ্রন্থ, কয়েকটি ফীক্হ এর গ্রন্থ আমার ওয়েবসাইটে আপলোড় অবস্থায় রয়েছে। তাছাড়া বাংলায় এখন প্রায় প্রসিদ্ধ সব গুলো কিতাবই পাওয়া যায়। এ কিতাব গুলো নিয়ে অধ্যয়ন ও সাধনা করলে এবং বিভিন্ন কিতাব, মতবাদ কিংবা বিপরীত মতবাদ ও বিভিন্ন আলেমের বিপরীতার্থক বক্তব্য নিয়ে গবেষণা পরিচালনা করলে, আশা করি সব মিলিয়ে ফতোয়ার কিতাব, ফতোয়ায়ে আরিফ লিখা আমার জন্য কোন ব্যাপারই হবে না ইনশা'আল্লাহ্।
হে আল্লাহ! এখন আমার একটা হালাল ও উত্তম জীবীকার ব্যবস্থা করে দাও। তাহলে ইনশা'আল্লাহ আমার স্টাডির পর স্টাডি করার বা জেহাদের পর জেহাদ করার ভালো সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং তখন আমি ইনশা'আল্লাহ্ কিতাবটি লিখতে আরো অনেক বেগবান হবো বলে আশা করি। অবশ্য আমি এমনিতেই স্টাডির পর স্টাডি করছি; কিন্তু রিজিকের কোন সু-ব্যবস্থা না থাকায় আমার স্টাডিতে ব্যাঘাত ঘটছে। তাছাড়া বর্তমানকার জ্ঞানগত বিভিন্ন ফেৎনা সম্পর্কে মোটামুটি আমার একটা ভালো ধারনা আছে। তবুও আমার জ্ঞানের স্বল্পতা হেতু, আমাকে হয়তো আরো অনেক বেশি স্টাডি করতে হবে। এতে আমি আনন্দের সহিত রাজি আছি। ইনশা'আল্লাহ আমি অনেক বেশি অধ্যয়ন করবো; পরিশ্রমের পর পরিশ্রম করবো।
আমি বুঝতে পেরেছি, আমি তোমার হাবিব রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এঁর বংশদর বা সম্প্রদায়ভূক্ত হওয়ায় হয়তো তুমি আমাকে পরী নামীয় এ রত্ন বা মণিমানিক্য আর হীরা জহরত দিয়ে এভাবে সহযোগিতা করছ। যা তুমি কোরআনুল কারীমে এভাবে ব্যক্ত করছ-
ذٰلِكَ الَّذِیۡ یُبَشِّرُ اللّٰهُ عِبَادَهُ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ ؕ قُلۡ لَّاۤ اَسۡـَٔلُكُمۡ عَلَیۡهِ اَجۡرًا اِلَّا الۡمَوَدَّۃَ فِی الۡقُرۡبٰی ؕ وَ مَنۡ یَّقۡتَرِفۡ حَسَنَۃً نَّزِدۡ لَهٗ فِیۡهَا حُسۡنًا ؕ اِنَّ اللّٰهَ غَفُوۡرٌ شَكُوۡرٌ ﴿۲۳﴾
হে নবী বল! আমি আমার রিসালত এর পারিশ্রমিক তোমাদের কাছে কিছুই চাইনা শুধু আমার কুরবা বা নিকট আত্মীয়দের প্রতি আনুগত্য পূর্ণ ভালোবাসা ব্যতীত। (সূরা শূরা, আয়াত ২৩)
হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ বর্ণনা করেছেন যে ,যখন এই আয়াত নাজিল হলো, তখন সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ (সা:) কারা আপনার নিকট আত্মীয়? যাদের আনুগত্য পূর্ণ ভালোবাসা পবিত্র কুরআনে উম্মতের ওপর ওয়াজিব (!!) করা হয়েছে।
উত্তরে নবী (সা:)বললেন- আলী, ফাতেমা, হাসান ও হুসাইন এর মুয়াদ্দাত।
সূত্র তাফসীরে মাযহারী খন্ড 11,পৃষ্ঠা 63 ই ফা বা, তাফসীরে নূরুল কোরআন (মাওলানা আমিনুল ইসলাম) খন্ড 25 ,পৃষ্ঠা 67, তাফসীরে দুররে মানসুর খন্ড 6, পৃষ্ঠা 7, তাফসীরে কাবীর খন্ড 27 পৃষ্ঠা ১৬৬(মিশর) তাফসীরে ইবনে কাসীর খন্ড 4 পৃষ্ঠা 112 (মিশর), মুসনাদে হাম্বাল খন্ড 1 পৃষ্ঠা 229, তাফসীরে জামে আল বায়ান(তাবারী), তাফসীরে কুরতুবী খন্ড 16 পৃষ্ঠা ২২,(মিশর),
(ফতোয়ায়ে আরিফ এর লিখকের বাণী এ পোস্টটি শেয়ার কবা যেতে পারে)
মহানবী (সা:) এর কাজের বিনিময় তাঁর (সাঃ) (নবীর) নিকট আত্মীয়দের প্রতি আনুগত্য পূর্ণ ভালোবাসা ব্যতীত অন্য কোন প্রতিদান তিনি চান নাই। এই বিষয়টি মুসলমানদেরকে জানানোর জন্য নবীকে (সাঃ) সম্পৃক্ত করে আল্লাহ তায়ালা মুসলমানদের নিকট এটাই স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে আহলে বায়াতের আনুগত্য ও তাদের নেতৃত্তের স্বীকৃতি কেবলমাত্র দুনিয়ায় তাদের অগ্রগতি ও উন্নয়নের এবং আখেরাতে মুক্তির নাজাতের একমাত্র উসিলা। হযরত আবুবকর রাঃ ও সে কথাটি বলেছেন যে, মহানবী (সা:) এর সন্তুষ্টি তাঁর আহলে বায়াতের আনুগত্যপূ্র্ণ ভালোবাসার মধ্যে নিহিত।
সহিঃ বুখারি শরিফ হাদিস নম্বর 3447 , 3479 ই ফা বা, ইবনে কাসীর, ইবনে হাজার।
আর তাই হে রব, তুমি তোমার হাবিবের (সাঃ) বংশকে, মানে আমার বা আমাদের বংশকে পূনরুজ্জীবীত করতে এ পরীকে বা পরীদেরকে (আমার ও আমার পরিচিত জনদের ধারনা অনুযায়ী) এবং তারই অংশ হিসেবে এ কাজটি তুমি হয়তো আমাকে দিয়েছ! তাই আশা করি এ বিষয় গুলো প্রকাশ্যে সত্যে পরিণত করবে। আমার কাছ থেকে তোমার এ নেয়ামত গুলো কখনো ছিনিয়ে নিবে না!
যদিও এ রকম সঠিক বংশ পরিচিতি না জানা অসংখ্য সৈয়দ বংশের সদস্য হয়তো দুনিয়ায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আরো অনেক রয়েছে।
তোমার পরিচয় প্রদান, ফতোয়া লিখন, চার মাযহাব ভিত্তিক অতীতের ফতোয়া সমূহের মধ্যে সমন্বয় সাধন, সংশোধন করণ, মানুষদেরকে তোমার পথে আহবান, মুসলমানদের সাংগঠনিক ও প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয় প্রদান, মানুষকে চিকিৎসা সেবা প্রদান, অর্থনৈতিক সহযোগিতা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক এবং মজলুমকে জুলুম থেকে মুক্তি প্রদান, জ্বীন এবং মানুষের মাঝে সম্পর্ক স্থাপন ইত্যাদি কাজ গুলোর জন্য আমি আমার জীবন উৎস্বর্গ করলাম।
আমাকে তোমার এ কাজ সমূহে, আমৃত্যু দায়েম ও কায়েম রাখবে, ইয়া আল্লাহ্।
তোমাকে আমি কথা দিচ্ছি, তোমার রহমতে ও হৃদয়ের অলংকার রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এঁর উছিলায় ইনশা'আল্লাহ এ কিতাবটি আমি বিশ্বের ১ নম্বর ফিক্হ বা ফতোয়ার কিতাব হিসেবে লিপিবদ্ধ করতে সমর্থ হবো! আমায় এ তাওফিকটুকু দান করবে ইয়া আল্লাহ! তোমার প্রতি আমি এ প্রার্থনা করছি, হে মা'বুদ। আমি আশা করছি, ইনশা'আল্লাহ, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এঁর উছিলায় তোমার রহমতে এ কাজটি আমি অতি উত্তম ভাবে পারবো।
আমাকে একটু সুযোগ করে দাও ইয়া আল্লাহ!! আমার আবেদন মঞ্জুর কর ইয়া আল্লাহ!!
আমার জ্ঞান; তোমার প্রতি আমার ভয় ও ভালোবাসা; মানব, জ্বীন ও সৃষ্টিকূলের প্রতি আমার প্রেম আরো বহুগুণে বৃদ্ধি করে দাও, ইয়া আল্লাহ!!
হে আমার রব! যেহেতু আল-কোরআন সমস্ত সৃষ্টকূলের জন্য রহমত, শেফা, মাগফিরাত ও নাযাতের কিতাব; তাই আমিও কিতাবটি বিভিন্ন খন্ডে বিভক্ত করে কিতাবটি শুধু মুসলমান নয়, অন্যান্য ধর্মাবলম্বী (দৃশ্যমান বাস্তবতা অনুসারে বলা হয়েছে) সম্মানিত সকল ব্যক্তিবৃন্দের উপকারার্থেও লিখার ইচ্ছা পোষণ করেছি।
হে আমার প্রতিপালক! যদি আমাদের ধারণা সত্য হয়, তবে আমার সাথে এ মহিলা জ্বীন তুমিই আমাকে দিয়েছো। আমারতো এমন কোন ইলম্- আমল নেই। তবুও আমায় তুমি জ্বীন দিয়ে এভাবে সহযোগিতা করলে!
এর আমি কী শুকরিয়া আদায় করবো (!), বা কী করলে আমার মন তৃপ্ত হবে, তা আমি জানি না। আমি শুধু আলহামদুলিল্লাহ পড়তে জানি ইয়া রব।
আলহামদুলিল্লাহ! আলহামদুলিল্লাহ!! আলহামদুলিল্লাহ!!!
তোমার প্রতি আমার এ কৃতজ্ঞতা কবুল কর।
যাক, এক্ষণে আমি তোমার নিকট বিনীত প্রার্থনা করবো যে, ইনশা'আল্লাহ্! সম্মানিত এ মহিলা জ্বীনকে বিয়ে করার মাধ্যমে তাকে সাথে নিয়ে, আমি আমার সারাজীবন তোমার সকল সৃষ্টিকূলের সেবায় আমরা দু'জন নিজকে নিয়োজিত রাখবো। ইনশা'আল্লাহ আমাদের জীবন উৎস্বর্গীকৃত হবে তোমার সৃষ্টিকূলের সেবায়। আমাদের জীবনের অন্যতম প্রধান আশাই হচ্ছে, যাতে মানুষের মন পাই, যেন অন্তর থেকে মানুষের দোয়া-ভালোবাসা পাই। আমাদেরকে তাওফিক দাও এবং আমাদের এ বিয়েকে মানুষের মাঝে জায়েজ কর। যেহেতু বিয়ে বন্ধন ব্যতীত একসাথে কাজ করার ফলপ্রসূ আর কোন সূত্র নেই। তাই তুমি এ ব্যবস্থা কর এবং যাতে মানুষ ও জ্বীন জাতি আমাদেরকে ভূল না বুঝে ও পাপী মনে না করে, সে ব্যবস্থা কর।
হে আল্লাহ এখন থেকে আমার এ পরী জ্বীনকে এক অণুক্ষণের জন্যেও, আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিবে না বা নিয়ে যাবে না ও সে যাতে না যায়, তার অন্তরে আমার প্রতি ভালোবাসায় পূর্ণ করে দিবে, তাকে আমার সাথে চিরকালের জন্য থাকার ব্যবস্থা করে দিবে এবং আমার পাশে আলাদা ভাবে উনার স্ব-শরীরেও আমি উনাকে দেখতে চাই।
(ফতোয়ায়ে আরিফ এর লিখকের বাণী এ পোস্টটি শেয়ার কবা যেতে পারে)
আমি আবারো আবেদন করছি যে, মানবজাতি ও জ্বীনজাতি এ উভয় জাতিকেই তুমি সৃষ্টি করেছ শুধুমাত্র তোমার ইবাদতের জন্য। দেখ ইয়া রব, মানুষ আমাকে আমার উপর পরী সাহর করেছে, এ কথা মনে করছে। আর যদি আমি মহিলা জ্বীন ভর করা ব্যক্তিই হই, তাহলে জ্বীন জাতির জন্য কিছু যদি করতেই না পারি, তাহলেতো আমার মন অতৃপ্ত থেকে যাচ্ছে। হে আমার প্রতিপালক আমি জ্বীন জাতির জন্যেও ব্যাপক ভাবে কাজ করে যেতে চাই। তাই তোমার নিকট আর্জি পেশ করবো যে, জ্বীন জাতির সাথে আমার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ, আন্তরিক ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়ে দাও। আমার সাথে থাকা এ মহিলা জ্বীনটিকে ওপেন করে, তার সাথে ও আমার সাথে ইসলামী শরীয়ত সম্মত ভাবে বিয়ে পড়িয়ে দাও এবং তার সকল সাথি বা বান্ধবীকে আমার দাসী হিসেবে অনুমোদন দিয়ে, মূলত আমাদের অন্তরঙ্গ বন্ধু হিসেবে দায়েম ও কায়েম রাখ। [যদি আমাদের ধারনা সত্য হয়] যেহেতু ইসলামে ৪ বিয়ের বেশি অনুমতি নেই। তবুও আমি কাউকে হারাতে চাই না। দাসী হিসেবে হলেও সবাইকে একসাথে থাকতে দিও। যাতে তাদের জন্ম থেকে মৃত্যূ পর্যন্ত সকল কার্যক্রম সম্পর্কে আমি স্পষ্ট করে জানতে পারি এবং মানুষের মতোই স্ব-শরীরে যাতে তাদের সাথে দেখা-শুনা, চলা-ফেরা, লেন-দেন ইত্যাদি করতে পারি। এবং জেনে-বুঝে যেন তাদের জন্যেও এ ধরনের একটি কিতাব লিখে যেতে পারি। অথবা এ কিতাবের মধ্যে যেন তাদের কাজ-কর্ম সমূহও অন্তর্ভূক্ত করার কথা বলে যেতে পারি। এ বিষয়ে আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করে দিবে ইয়া আল্লাহ!! হে আল্লাহ জ্বীনজাতির সেবায়ও যাতে নিজকে নিয়োজিত রাখতে পারি, এ তাওফিক তুমি আমায় দান কর। এবং সে সাথে সমস্ত সৃষ্টিকূলের উপকারার্থে যেন আমি ও আমার স্ত্রীগণ নিবেদিত হতে পারি, এ প্রার্থনাও করছি।
হে মানব ও জ্বীনকূল! হে সৃষ্টিকূল! তোমরা আমার জন্য মহান আল্লাহু তা'য়ালার নিকট দোয়া কর, যেন আমি তোমাদের জন্য কিছু করতে পারি, আমি যেন তোমাদের সেবার মতো সেবা করে, এর পর আমরা দুজন যেন দুনিয়া থেকে যেতে পারি।
ইয়া আল্লাহ্! তুমি আস্তিক নাস্তিক সবাইকে খাওয়াও পরাও; আর আমরা তোমার প্রতিনিধি হয়ে শুধু মুসলমানদের খাওয়ানোর পরানোর বুদ্ধি করবো!? ধারনা মতে একটি পরীর দল পেয়েও যদি আমি সাম্প্রদায়িক চিন্তার উর্ধ্বে উঠে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের জন্য কিছু করতে না পারি, তাহলেতো আমরা তোমার কথা বা গুণ অনুযায়ী তোমার স্বার্থক প্রতিনিধি হতে পারলাম না।
আমাদেরকে ইলেকট্রন থিওরি বা বিদ্যূৎ বা কম্পিউটার এ রকম কিছু একটা আবিষ্কার করে, তারপর দুনিয়া থেকে যাওয়ার তাওফিক দিবে।
আমরা যদি তোমার মতো সকল আস্তিক-নাস্তিকের জীবন-ধারনে কিছু নাই'ই করতে পারি, তাহলে কিসের মানুষ হলাম! আর কিসের জ্বীন হলাম! মানুষ আর জ্বীন হওয়াতো মনে হয় আমাদের অর্থবহ হলো না!
উপরোক্ত এ নিয়তগুলো পূর্ণ করার জন্য আমায় তাওফিক দাও ইয়া মাবুদ!!আমায় তাওফিক দাও ইয়া আল্লাহ!! আমাদের তাওফিক দাও হে রাহমানুর রাহীম !!
হে মা'বুদ আমি যে, তোমার কিতাব, তোমার কালাম অনুযায়ী তোমার সংবিধান লিখার কাজে হাত দিয়েছি বা দিতে চাচ্ছি, মানে এখন আমি একজন বিচারক, মানে তোমার আদালতের হাকিম। (ফতোয়ায়ে আরিফ এর লিখকের বাণী এ পোস্টটি শেয়ার কবা যেতে পারে)
মাবুদ, আমি জানি বিচার করতে গিয়ে যদি ইচ্ছে পূর্বক বিচারের রায় উপযুক্ত না করে, কম-বেশি করি, তাহলে কাল কেয়ামতে সংশ্লিষ্ট এ বিচারটি তুমি আবার করবে এবং সেখানে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে, হয়তো জাহান্নামের আগুনেও জ্বলতে হবে আমাকে। দেখ রব, বর্তমানেও আমি চেয়েছিলাম মানুষের উপকার করতে, কিন্তু উল্টো আমি ঋণী হয়ে মহাপাপী হয়ে আছি। একই ভাবে আবারও আমি মানুষ সহ সমস্ত সৃষ্টিকূলের উপকার করবো বলে বড় ধরনে আরেকটি তরবারী কাঁধে নিয়েছি।
শয়তানের প্ররোচনায় হোক, নিজের নফস বা রিপুর তাড়না কিংবা জ্ঞানের স্বল্পতায় হোক আবারও হয়তো পাপে নিমজ্জিত হয়ে যেতেও পারি।
কারণ মানুষ পাপ করতে পারে; ভূল করতে পারে; এটি মানুষের স্বভাবজাত। ইয়া রব!
আমি যদি এ কাজে আগ্রহী না হতাম বা রাজী না থাকতাম, তাহলে হয়তো তুমি আমাকে এতো বড় কাজ প্রদান করতে না। তোমাকে পেতে, তোমার রাসূলকে (সাঃ) পেতে আমার এতো বড় কাজের দায়িত্ব নিজ স্কন্ধে নেয়ার কোন প্রয়োজন ছিলো না। তোমার আরো নিকটতম হতে চেয়ে, আমার জ্ঞান স্বল্পতা, ভূল ও পাপ জাগ্রত করার কোন মানে নেই। এবং (আস্তাগফিরুল্লাহ) পরিণামে আমি জাহান্নামবাসী হয়ে গেলে (তাকদীরে কী আছে আমি কি জানি!?) এতে আমার কী লাভ হবে?
আর কেউ না বুঝলেও অন্তত তুমি আমার হৃদয় বুঝ। আমি কিন্তু মানুষের সুনাম কুড়াতে বা মানুষের নিকট ভালো মানুষ সাজতে; অথবা তাদের কাছে বড় লোক হওয়ার জন্য বা অপ্রয়োজনীয় অর্থ ওয়ালা বা ব্যক্তিগত ভাবে অনেক সম্পদের মালিক হতে চেয়ে এ কাজ আরম্ভ করিনি। এবং তোমার নিকট এ ধরনের জমায়িত অঢ়েল সম্পদের মালিক আমি কখনো হতে চেয়ে তোমার নিকট আমি কখনো প্রার্থনাও করিনি।
তাহলে তোমাকে ও তোমার রাসূল (সাঃ)-কে পাওয়ার আশায় হাঁড়ভাঙ্গা ও ঘামঝরা পরিশ্রমও করবো, আবার তোমাকে না পেয়ে জাহান্নামে নিক্ষিপ্তও হবো, এটাতো হয় না(!) ইয়া রব!!
আমি জানি তুমি ন্যায় বিচারক। তাই তোমার নিকট আমার আবেদন, আমার যদি কোন ভূল হয়, যদি যে কোন তাড়নায়'য় হোক না কেন, আমি যদি কোন পাপে নিমজ্জিত হওয়ার পথে চলি, তাহলে তুমি আমায় নিজ কুদরতে ফিরিয়ে রাখবে এবং আমায় তুমি তোমার সমস্ত সৃষ্টি দিয়ে সহযোগিতা করবে।
এছাড়া মানুষ সহ সমস্ত সৃষ্টিজগতের (যতটুকু সামর্থে কুলায়) উপকার বা সেবা করার প্রয়োজনেও তুমি আমাকে তোমার সমস্ত সৃষ্টি দিয়ে সহযোগিতা করবে। আর ফতোয়ার কিতাব বা পরবর্তীতে এ ধরনের আরো কিতাব যেমন "THE STRACTURE OF BANDHAN FOUNDATION বন্ধন ফাউন্ডেশন" ও অন্যান্য কিতাব লিখার যদি তাওফিক পাই, তবে এ কিতাব সমূহ লিখায় আমার সাধারণ গুণাহ সমূহ তুমি ক্ষমা করবে।
ইয়া রব! তুমি জান, হযরত ঈমাম মাহ্দী (আঃ) আমার বংশে আসুক, তোমার নিকট আমার মিনতি ভরা এ দোয়া করে, আমি অনেক গুলো সীদ্ধান্ত নিয়েছি, এ কিতাবটিও তারই একটি অংশ। সুতরাং দয়া করে আমার এ দোয়াটি কবুল কর। হযরত ঈমাম মাহ্দী (আঃ)-কে আমার বংশে পাঠাবে। হে বিশ্ববাসী!! তোমরাও আমার জন্য এ দোয়া করবে যে, হযরত ঈমাম মাহ্দী (আঃ) সৈয়দ আরিফ উল্যাহ সাহেবের ওরশে এবং তার বংশে আসুক মানে আমার বংশে আসুক। ইয়া আল্লাহু তা'য়ালা!! তুমি আমার এ হৃদয়গ্রাহ্য ও আন্তরিক দোয়া সমূহ কবুল কর। আমিন। সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
আবার ফতোয়ার কিতাব যে শুধু আরবী/উর্দূ বা ফার্সীতে লিখতে হবে বা বাংলায় লিখলে যে মহান আল্লাহ্ কর্তৃক তা গ্রহণযোগ্য হবে না বা বিশ্বের মানুষ যে তা বুঝতে পারবে না, এ ফতোয়া কিন্তু কোরআন হাদীসের কোথাও নেই।
বর্তমানে প্রযুক্তি এতোটাই আপডেট যে, মুহুর্তের মধ্যে এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় রুপান্তর সম্ভব। বাংলাও সে রকমই একটি ভাষা। পৃথিবীর প্রতিটি ভাষা আল্লাহ তা'য়ালারই সৃষ্টি।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক যদি এ দেশের প্রায় ১৮ কোটি জনগণের বিচার বাংলায় করতে পারে এবং বিশ্বকবী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যদি বাংলায় গীতাঞ্জলি কাব্য লিখে নোবেল পেতে পারে, তাহলে বাংলায় যে মানুষের মনের ভাব প্রকাশ করা যায় না বা যাবে না অথবা আরবী/উর্দূ/ফার্সী ইত্যাদি ভাষার সাথে বাংলা ভাষার পারষ্পরিক রুপান্তর যথাযথ ও সহজ-সরল হবে না বা এ প্রক্রিয়ায় পবিত্র কোরআন ও হাদীসের ভাষাকে যে বাংলায় রুপান্তর করা যাবে না, এটি বলা কিন্তু শুধু অযৌক্তিকই নয়, নিজের মন-মগজের বিপরীতও বটে।
মানুষ কী বা কতটুকু করতে পারবে বা করতে হবে অথবা কতটুকু করা বা না করার এখতিয়ার মানুষের রয়েছে অথবা সৃষ্টিকর্তাকে ডাকার বা ইবাদতের নিয়ম-কানুন গুলো কী কী অথবা মানুষের সাথে মানুষের বা অন্য জাতীর লেনদেন, মিলামিশা ও তাদের পারষ্পরিক বিভিন্ন কর্মের উত্তম ও অনুত্তম দিক সমূহ অবহিত করণ বা তাদের পারষ্পরিক কর্ম ও ব্যবহার সমূহের মধ্যে নিষেধাজ্ঞা প্রদান বা তাদের কথা ও কর্ম সীমিত করণ; এই হচ্ছে ফতোয়ার মূল।
এ সব কিছুর বিবেচনায় সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ ও রায় বা ফতোয়া হচ্ছে, বাংলায় ফতোয়ার কিতাব লিখা যাবে এবং সৌদি আরব সহ বিশ্বের সকল মুসলিমকে তা গ্রহণ করতে হবে।
ছোটবেলা থেকেই ফতোয়া বা আইনের প্রতি ছিলো আমার প্রবল ঝোঁক ও শ্রদ্ধা। বার বার মন চাইতো এ বিষয়ে সরকারকে কিছু একটা বলি। হুজুরদেরকে কিছু একটা বলি। বার বারই মন বলছিলো যেহেতু ইসলামে ৪ মাযহাব বিদ্যমান এবং যেহেতু অনেকেই অনেক আমলকে না বুঝে বেদআত বলছেন, তাই আমার মন বলছিলো, পূর্বের মহিয়ান ও গরিয়ান বুজর্গগণ কর্তৃক লিখিত ইসলামী এ ফতোয়া সমূহের মধ্যে একটা সমন্বয় প্রয়োজন, ভূল ফতোয়া সমূহ শুদ্ধ করা প্রয়োজন এবং নব নব সৃষ্ট বিষয়ে নতুন করে ফতোয়া লিপিবদ্ধ করা প্রয়োজন। এছাড়াও মুসলমানদের নেই কোন প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠান। নেই কোন সাংগঠনিক রুপরেখা। এসব ক্ষেত্রেও কিছু করা প্রয়োজন। কিন্তু আমি কি করবো (?), আমিতো আর ঐ রকম কোন লেখাপড়া জানি না। যেহেতু আমি মাদরাসায় পড়িনি। আমি বললেতো বা আমি লিখলেতো আর কেউ হয়তো পড়বেও না বা শুনবেও না। তাই মনের দুঃখ মনেই চাপা রাখতে থাকলাম। এরপরও কিছু কিছু বিষয়ে আমি কথা বলেছি। আপনারা আমার সোসাল মিডিয়া বা ব্লগার ওয়েবসাইট গুলো ভালো করে ভিজিট করলে তা দেখতে পাবেন।
বাংলা ভাষায় রচিত আমার ছোট বেলা থেকে এ পর্যন্ত কোরআন, হাদীস, বিভিন্ন ফতোয়ার কিতাব ও বিভিন্ন ধরনের ইসলামি বই, আলেম উলামাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহার ও আমাদের চলমান বাস্তব জীবন থেকে যে শিক্ষা পেয়েছি, এবং মাদরাসায় ভর্তি হয়ে মুফতি সনদ অর্জন করতে পারি, তবে এতে আমার বিশ্বাস হয়েছে যে, আমি ফতোয়ার কিতাব লিখার সামর্থ রাখি।
এছাড়া বর্তমানে নেট জগত ওপেন হওয়ায় আমি এ গুরত্বপূর্ণ কাজে আরো বেগবান হয়েছি।
গুগল সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠিত ও গ্রহণযোগ্য সোসাল মিডিয়া যেমন ইউটিউব, ফেসবুক, লিংডিন ইত্যাদিকে আমি শুধু বিনোদনের কেন্দ্রই মনে করি না, আমি মনে করি এগুলো এক একটি আন্তর্জাতিক ওপেন বিশ্ববিদ্যালয়।
আবার রবীন্দ্রনাথের লিখা দু'টি লাইন, "বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র", এ দুটি লাইনে আমল করতে গিয়ে, আমার সৎ সাহস আরো বেড়েছে।
তবে আসল কথা আমি আমার এসব অপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার উপর ভিত্তি করে এ ফতোয়ার কিতাব লিখা আরম্ভ করিনি। বা এ ফতোয়ার কিতাব লিখতে প্রয়াস পাইনি। (ফতোয়ায়ে আরিফ এর লিখকের বাণী এ পোস্টটি শেয়ার কবা যেতে পারে)
আমি যে কারণে আরম্ভ করেছি তা হলো, ২০০১ সনে হঠাৎ করে আমার মানসিক পরিবর্তন হয়। আমি আল্লাহ্ ও ইসলামকে আরো অধীক ভাবে মানতে শুরুকরি। যিকির, নামাজ, রোজা, আল্লাহকে ভালোবাসা, সুন্নাতি জীবন-যাপন, মানুষের প্রতি দয়া-মায়া এগুলো যেন ঝড়ের গতিতে বাড়তে থাকে।
এভাবে বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাত, অর্থনৈতিক মন্দা ও চরম অভাব এবং এসবের মধ্য দিয়ে কেটে যায় প্রায় ২৩টি বছর। সে সব ইতিহাস লিখে আপনাদেরকে আর বিরক্ত করতে চাই না।
আপনারা যদি আমার সে সব ইতিহাস পড়ে আমাকে বুঝতে চান, তাহলে আমার jinmanb.blogspot.comএ ওয়েবসাইট ভালো করে ভিজিট করে ও পোস্ট সমূহ পড়ে জেনে নিতে পারেন।
তবে গত প্রায় ১০/১২ মাস থেকে আমার কেবলই মনে হচ্ছিলো, আমার সাথে অশরীরী জ্বীন বা এ জাতীয় কিছু একটা রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমার শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন উপস্বর্গ ও আমার প্রতি মানুষের ব্যবহারকে গবেষণা করে, বর্তমানে আমার অনেকটা বিশ্বাস জন্মে গেছে যে আমার সাথে হয়তো মহিলা জ্বীন জাতীয় কিছু একটা রয়েছে।
সেই ২০০১ সন থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ২৫ বছর কাল আমি নিজকে নিজে গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করে ও আমার প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিতে "পরী আছে" এ ধরনের সত্যায়ন বুঝতে পেরে এবং পরবর্তীতে সুযোগ করে মাদরাসায় ভর্তি হওয়ার নিয়ত পোষণ করে, আমি এ রকম একটি মহৎ ও জটিল কাজ করতে আগ্রহী হয়েছি।
আমার সাথে জ্বীন আছে বা থাকে, এ বিষয়ে ক্লাস টু'তে পড়া আমার ২ জন ছাত্রকে জিজ্ঞাসা করি যে, মানুষ আমার সাথে এমন করে কেন? আমার সাথে কী আছে বলে মনে করে তারা? কোমলমতি এ ২ ছাত্র প্রথমে বলতে চায়নি, তারা বার বার আমার দিকে তাকায় শুধু। পরে আমার পজিটিভ ইঙ্গিত পেয়ে বলে, মানুষ আপনার কাছে ফেরেশতা আছে বলে মনে করে।
আবার আমার বাড়ির পাশের মসজিদের মুয়াজ্জিন ভাইর (উনি দাওরা পাশ আলেম) নিকট জানতে চাইলাম, উনাকে বললাম, মানুষ বলে আমার নিকট নাকি জ্বীন ও ফেরেশতা আছে; এখন আমি যদি ফতোয়ার কিতাব লিখি বা উদ্যেগ নিই, তাহলে আমি কি পারবো? উনি বললেন, জ্বী পারবেন?
এছাড়া আমার বর্তমান অবস্থা বুঝিয়ে বলে এরপর আমার এক বয়োযৈষ্ঠ মামার নিকট জানতে চাইলাম, ফতোয়ার কিতাব লিখা আরম্ভ করেছি, আমি কি পারবো? তিনি বললেন, হ্যাঁ, পারবা।
এলাকার ও চাকুরীর স্থলের বিভিন্ন মানুষকে রিভিউ করে দেখলাম যে, আসলেই তারা মনে করছেন, আমার সাথে জ্বীন রয়েছে এবং এটি মুমেন ও অনেক ভালো জ্বীন। এতে আমার আত্মবিশ্বাস জন্মেছে যে, আসলেই আমার সাথে জ্বীন রয়েছে এবং যার দ্বারা মহান আল্লাহ্ আমার মাধ্যমে মানুষের জন্যে রচিত তাঁর সংবিধান লিখার দায়িত্ব দিতে চান হয়তো।
আমার সাথে জ্বীন থাকা এবং মানুষের পজিটিভ রিভিউ এসব কিছু আমাকে ফতোয়ার কিতাব লিখতে অনুপ্রাণিত করে ও এরই প্রেক্ষিতে আমি ফতোয়ার কিতাব লিখতে উদ্যেগী হই।
সেই শিশু কাল থেকে যখন আমার বয়স ২৩ বছর পূর্ণ হয়, তখন ২০০১ সনে আমার মানসিক পরিবর্তন হওয়া আরম্ভ হয়। আবার যখন ২৩ বছর পূর্ণ হওয়ার পথে তখন ২০২৪ এর নভেম্বর মাসে লোকেরা আমার মাঝে আবিষ্কার করেন, আমার মাঝে নাকি জ্বীন (ও আল্লাহর ফেরেশতা) রয়েছে এবং তিনি নাকি মানুষের জন্য অনেক কিছু করতে চান।
বুঝতে চেষ্টা করুন পবিত্র কোরআন নাযিল হয় পূর্ণ ২৩ বছরে, এবং আমিও পূর্ণ ২৩ বছর পর মানসিক ভাবে আল্লাহ মুখী হওয়া আরম্ভ করি এবং আবার সেই ২৩ বছরেই আমার মন, ব্রেন ও শরীরে ভাল জ্বীনের (মানে ফেরেশতার কর্ম) উদ্ভব হয় এবং তার অনুপ্রেরণাতেই মূলত আমি ফতোয়া লিখার কাজ আরম্ভ করি।
সব কিছুই যখন অলৌকিকতার সাথে মিলে যায়, তখন ইহা স্পষ্টই বুঝা যায় যে, আমাকে ফতোয়া লিখার এ দায়িত্ব মূলতঃ আল্লাহ তা'য়ালাই দিয়েছেন।
তাহলে মাদ্রাসা পড়ুয়া আলেম ভাই ও অন্যান্য শিক্ষিত বা সাধারণ ভাইগণ দয়া করে এই বলবেন না যে, আমি এখনো মাদ্রাসায় পড়িনি, আমি এখনো আরবী লিখা-পড়া জানি না, আপনারা জানেন; আপনারা আলেম, আমি আলেম নই, তাই আমি এ কাজ করতে পারি না। আমি এ কাজের যোগ্য নই। আমি এ কাজের যোগ্যতা রাখি না। এ জন্যে আমার অনুগামী হতে পারবেন না আপনারা। তবে আমারতো মাদরাসায় ভর্তি হওয়ার পূর্ণ নিয়ত রয়েছে।
আমার সাথে জ্বীন থাকা যদি সত্যি হয়, আর যদি আপনারা আগ থেকেই আমাকে না মানতে প্রস্তুত হন, তাহলে আমি ভয় করছি এই ভেবে যে, না জানি পৃথিবীর মানুষের পরিণতি শেষ পর্যন্ত ইবলিশের মতো হয়ে বসে!! (যে বা যারা শুধু অর্থ বা সার্টিফিকেটের বলে নিজকে বড় বলে দাবী করে)।
আপনাদের নিশ্চয়ই অবগত আছে, সাহাবীগণ মাদরাসায় পড়েননি এবং পরবর্তীকালের বড় বড় বুজর্গ গণ, যেমন ঈমাম আবু হানিফা (রহঃ), ঈমাম বুখারী (রহঃ) সহ আরো অনেক মনিষী মাদরাসায় পড়েননি। তাই আমার মনে হয়, আপনাদের উচিৎ হবে, আসলে আমার কাছে ভালো জ্বীন আছে কিনা তা দেখা এবং যদি বুঝতে পারেন যে, আমার নিকট ফেরেশতার কর্ম প্রাপ্তি মূলক ভালো জ্বীন আছে, তাহলে পজিটিভ সাপোর্ট দিয়ে আমাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে আপনাদের কাজ।
কিন্তু গত ২৫ বছরে আমার নিজ পরিবার, বংশ সহ চারদিকের মানুষের মাঝে বাহুবলের যে অবস্থা আমি দেখতে পেয়েছি, এবং এ কারণে যে অবর্ণনীয় দূর্ভোগ আমাকে সইতে হয়েছে, তাতে আমার মনে হয়েছে, এদের মূলে ঈমান থাকলেও বর্তমানে এদের জীবনধারন বা পরিচালনায় অর্থ-বিত্ত, বাহুবল আর অপ-সমাজ-সংস্কৃতিই এদের কাছে আজ প্রাধান্য পাচ্ছে। আমার কাছে মনে হয়েছে, ঈমান এদের কাছে আজ প্রায় অন্ধ চালিকা শক্তি হিসেবে তাদেরকে মুসলিম হিসেবে টিকিয়ে রাখছে। যা শুধুই আল্লাহু তা'য়ালার রহমত ছাড়া আর কিছু নয়!
এ পরিস্থিতিতে আমি কিছুতেই এদের সাথে মেচিং হতে পারছি না। এবং নিজের পরিচয়ও ওপেন করতে পারছি না। কারণ এরা পূর্ব থেকেই বড় হয়ে আছে। এরা জ্ঞানী অজ্ঞানী প্রায় সবাই রাজা। কিন্তু কোরআন এসেছে শাসন করতে; শোসিত হতে নয়। আর শাসন করতে হলেতো হতে হবে রাজা। রাজাই শাসন করবে; প্রজা কি আর শাসন করতে পারে?
কিন্তু আমার মনে হয় এরা এখন কিছুতেই তাদের সিস্টেম ছাড়বে না। তাদের কেউ আমাকে মনে হয় স্থান করে দিবে না। তাদের চেয়ার তারা ধরে রাখবে। রাজা হয়ে তারা আমার মতো ছোট একজনকে কিছুতেই রাজার আসন দিতে পারবেন বলে মনে হয় না।
তাই আমার প্রার্থনা এই যে, আমাকে এমন কোন স্থান ও মানুষ বা জ্বীন বা উভয়ের নিকট প্রেরণ কর বা স্ব-সম্মানে যাওয়ার তাওফিক দাও; যেখানে আমি হবো রাজার যোগ্যতা ওয়ালা। ও রাজা হয়ে (বা এরুপ কোন বিকল্প কিছু দাও, যা হয়তো আমার ব্রেনে ধরছে না) যেন এ কোরআন অনুযায়ী এর যথোপযুক্ত সংবিধান প্রণয়ন করতে পারি এবং সেখান থেকে এর বাস্তবায়নের কাজ শুরু করতে পারি।
যেহেতু কোরআন শাসন করতে এসেছে, মানে কোরআনই রাজা। তাহলে কোরআন অনুযায়ী কোরআনের সংবিধান লিখতে হলেতো আমাকেও হতে হবে রাজা। প্রজা হয়েতো আর রাজার সংবিধান লিখা যাবে না বা যেতে পারে না। ইহাতো সহজ যুক্তি ইয়া রব।
অথচ বিপরীতক্রমে (প্লিজ কেউ মাইন্ড করবেন না) এখানে আমি যা দেখেছি, এখানকার মানুষগুলো যা পারে, তা হচ্ছে বাহুবল আর ঝালুয়া ঘাঁটা-ঘাঁটি। (রুপক অর্থে, আমাদের দেশের একটি অবহেলিত শ্রেণীর বৈশিষ্ট্য, কিছুতেই অপমান অর্থে নয়)। এদের মাঝে পড়ে আমার গত হয়েছে বিগত প্রায় ২৫টি বছর। তাছাড়া এদের সাথে থেকে, এদের মতো হয়ে কিছু লিখলে বা কিছু বললে, তা কে শুনবে বা কে পড়বে ইয়া রব? এ জন্য তোমার নিকট আমার আন্তরিক আবেদন এই যে, ইসলামিক বিধান অনুযায়ী আমাকে যে কোন আন্তরিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ রাজকীয় ফ্যামিলিতে রিলেশন সৃষ্টি করে আমার সাথে একটি অবিচ্ছেদ্য বন্ধন সৃষ্টি করে দাও। কিন্তু যদি এমন হয় যে তাদেরকে শত চেষ্টা করার পরও তাদের জাতি বা বংশের মধ্যকার কেউ ইসলাম কবুল করবে না বা পরিপূর্ণ ইসলাম মানবে না, তাহলে কোন প্রয়োজন নেই, ইয়া রব। কারণ আমাকে এখন ফতোয়ার কিতাব লিখতে হবে এবং অলরেডী যা আমি আরম্ভ করে দিয়েছি।
ভিন্ন জাতিতে বা ভিন্ন বংশে যাওয়ার আমার মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে তাদেরকে যদি ইসলামের মাহাত্ম্য, শান্তি ও প্রেম সম্ভন্ধে যদি অবহিত করতে পারি! তারা যদি ইসলাম গ্রহণ করে! বা আরো অধিক ভাবে ইসলাম মানে, এই আশা, ইয়া রব! (ফতোয়ায়ে আরিফ এর লিখকের বাণী এ পোস্টটি সম্পর্কে মন্তব্য করা যেতে পারে) আর যদি কেউ ইসলাম গ্রহণ না করে, বা না মানে, তাহলে তুমি আমাকে আমার জাতিতেই এবং শুধু আমার এ বংশেই রাখ। শুধু একটু হালাল আর সম্মান-জনক রিজিকের ব্যবস্থা করে দাও আমায়। আর দ্রুত তম সময়ে যাতে কিতাবটি লিখা আরম্ভ ও শেষ করে এরপর মুসলিমদের জন্য বা মানুষদের জন্য অন্য কল্যাণকর কাজ ধরতে পারি সে তাওফিক দিবে।
আর আমার মন, ব্রেন ও শরীর-স্বাস্থ্য, সুস্থ রাখবে।
তাই আমার মনে হয়, আমার উপরোক্ত দোয়াটি কবুল করে আমাকে চাহিত এরুপ একটি ভালোবাসা পূর্ণ স্থানে প্রেরণ করলে, মনে হয় কিতাবটি আরো তাড়াতাড়ি ও সুন্দর বা উপযুক্ত ভাবে লিখতে পারতাম এবং যা ইসলাম প্রচারেও কাজে আসতো ও কিছু লোক নরক থেকেও মুক্তি পেতো। আমার এ দোয়াটি কবুল করার জন্য রবের নিকট বিনীত ভাবে প্রার্থনা করছি।
আল্লাহ! মাঝে-মধ্যে আমার আকূতি হয় যদি এদের বড়ত্ব আর বাহুবল থেকে মুক্তি পেতে পারতাম! আর তাই আমি পছন্দ করলাম, মাদরাসায় ভর্তি হতে এবং পবিত্র আল-কোরআন, আল-হাদীস ও সহায়ক গ্রন্থ সমূহ দেখে ও গবেষণা করে তোমার নির্দেশিত ও তৈরীকৃত সংবিধান লিখতে। যেহেতু অন্য কাজ করতে মনস্থির করলেতো এদের সাথে বাহুবলীয় অপ শক্তির প্রতিদন্ধীতা করেই হয়তো কাজটি পরিচালনা করতে হবে ও টিকে থাকতে হবে এদের এ সমাজে। যে কারণে আমি এ ধরনের কোন কাজ করতে আপাতত আগ্রহী হইনি।
যেহেতু আমি কোন ধরনের শক্তি প্রদর্শনের মানুষ নই। তাই আমি প্রথমত নিরিবিলি শান্তিপূর্ণ ভাবে শুধু কলম দিয়ে লিখে আমার মহান রবের পরিচয় দিয়ে যেতে চাই। খন্ডন করে যেতে চাই অবিশ্বাসীদের সকল যুক্তি।
আমি কারো ইন্সপেক্টর নই যে, কাউকে জোর করে আমি বেহেশতে প্রবেশ করাবো। জোর-জবর দস্তির লোক আমি নই। হয়তো মানুষ ও আল্লাহর সৃষ্টিকে বেশি ভালোবাসি বলে, কখনো কখনো হয়তো আমাকে ভূল বুঝতে পারেন আপনারা বা ভূল বুঝেছিলেন আপনারা। (ফতোয়ায়ে আরিফ এর লিখকের বাণী এ পোস্টটি শেয়ার কবা যেতে পারে) প্রথমত আমি শুধু মানুষকে জানিয়ে দিতে চাই। উপদেশ দিতে চাই। সতর্ক করতে চাই। কোনটি সত্যিকার রবের কাজ, আর কোনটি রবের কাজ নয় এবং তা মানুষ ও জ্বীন সম্প্রদায়কে জানিয়ে দিতে চাই। বাহুবলে আমি কোন কিছু পেতে চাই না। প্রাথমিক ভাবে আমি শুধু কলমের কালিতে বলতে চাই, আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়। তাঁর কোন শরীক নেই। একমাত্র ধর্ম ইসলামই সত্য; আর সবই মিথ্যা। কোন ধর্মের কোন মানুষই আমার পর নয়, সকলকেই আমি আপন করতে চাই। মানব ধর্ম হিসেবে আমি সবাইকেই ভালবাসি। এ হিসেবে আমি সকল মানুষেরই বন্ধু। কেবল শয়তানই আমার শত্রু। আমার কলম মানুষের উপকারার্থে এবং কেবল শয়তানের বিরুদ্ধেই চলবে আমার কলম। আল্লাহু আকবার।
বর্তমানে প্রচলিত রাজনীতি বা এ ধরনের কোন কর্মের বিষয়ে আমি সবাইকে স্পষ্ট জানাতে চাই যে, সংবিধান লিখতে গিয়ে আমি কোন ধরনের ইসলামী বা অন্যকোন ধরনের রাজনীতি বা বা যে কোন দল বা মতের সহিত জড়িত হতে পারবো না। যেহেতু আমার সময়ে কুলাবে না। তবে আমি ইসলামী রাজনীতির বিরোধী নই।
আমার সময় অপচয়, ন্যায় বিচারে দূর্বলতা, এবং অনৈসলামিক পরিবেশ-পরিস্থিতির কারণে আমি কারো দাওয়াতেও অংশ গ্রহণ করতে পারবো না (আল্লাহর আইন সমূহ বাস্তবায়নের উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্যান্য দাওয়াত সমূহে) বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এবং একই কারণে ও আমি ন্যায় বিচার করতে পারবো না এ ভয়ে, কোন ধরনের হাদিয়া-তোহ্ফা, সংবর্ধনা বা ফুলের তোড়া ইত্যাদি গ্রহণ করবো না বলেও মনোস্থির হয়েছি।
তবে রাষ্ট্রীয় বা জাতীয় বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ের হলে ভিন্ন কথা। রাষ্ট্রীয় বা জাতীয় বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ের কোন অনুষ্ঠান ছাড়া আর কোথাও আমি যেতে চাই না। যদি আমার অবস্থান সে রকম হয়। কারণ তখন এসবে আমার অযথা সময় ব্যয় হবে বলে মনে করছি এবং এগুলোর চাইতে মানুষের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ, সংবিধান বা স্ট্র্যাকচার প্রণয়ন বা এ জাতীয় মূল্যবান কর্ম সমূহের দ্বারা আরো বেশি সাওয়াব পাওয়া যাবে বলে মনে করছি।
তাই আমার কাজের অর্থই হলো, কোন কাজটিতে সাওয়াব বেশি, তা করবো; আর কোন কাজটিতে সাওয়াব কম, তা করবো না। সাওয়াবের অংক করে, এরপর সংশ্লিষ্ট কাজটি করবো, না হয় বাদ দিবো।
বর্তমান দুনিয়ার কোন মানুষ ও জ্বীন যে সাওয়াব পাবে না, পেতে পারে না, ইনশা'আল্লাহ আমি সে সাওয়াব পাবো এবং দেখে দেখে শুধু এ ধরনের কাজগুলোই করবো বা করার জন্য দুয়া করবো বা নিয়ত করবো বা প্রচেষ্টা চালাবো।
অতএব প্রচলিত রাজনীতি বা এ ধরনের কোন কাজ আমি আমার জীবনেও করতে পারবো না। তাই দয়া করে আমাকে এসব নিয়ে কেউ জ্বালাবেন না।
মুসলিম-অমুসলিম, রাজা-বাদশা, বিজ্ঞানী-জাদুগর, বিভিন্ন জাতি-উপজাতি আপনারা সকলে হয়তো আঁৎকে উঠবেন, অনুসন্ধিৎসু ও কৌতুহলি হবেন আমার কাছে জ্বীন আছে শুনে। অবশ্য এ রকম একটি খবর শুনে বিষ্মিত হওয়াটাই স্বাভাবিক। ফলে আপনারা আমায় বুঝতে বা জানতে চাইতে পারেন।
এ বিষয়ে আপনাদেরকে আমি স্পষ্ট বলতে চাই যে, আমার জ্বীনকে বুঝতে গিয়ে আমাকে অজ্ঞান করা, আমার ব্রেনকে অচল করা অথবা আমার উপর এ জাতীয় কোন ঔষুধ প্রয়োগ অথবা কোন ধরনে বান-টোনা বা ব্ল্যাক ম্যাজিক প্রয়োগ বা আমার সাথে অস্বাভাবিক কোন আচরণ বা ব্যবহার এগুলো করবেন না। এবং আমার রক্ত, মল-মূত্র বা বীর্য নেয়ার প্রচেষ্টা দয়া করে কেউ করতে যাবেন না। অথবা আমাকে বন্ধী করা, বা যে কোন ভাবে আমার উপর মানসিক চাপ প্রয়োগ করে আমাকে পরীক্ষা করার এ অমানবিক ও ঘৃণ্য কৌশল সমূহ কেউ পরিচালনা করতে চেষ্টা করবেন না।
সম্পূর্ণ স্বাভাবিক, শান্তিপূর্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্মানজনক পরিবেশে, বেশি নয়, সর্বোচ্চ আনুমানিক ১৫ দিন আমার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সময় কাটালেই ইনশা'আল্লাহ আপনারা আমার সাথে যে জ্বীন আছে বা থাকে তা বুঝে যাবেন।
দয়া করে এ কাজে আমার উপর কোন ধরনের ক্লিনিক্যাল, রাসায়নিক কিংবা বৈজ্ঞানিক কোন পরীক্ষা চালাতে কিংবা মানসিক কোন কষ্ট বা পীড়া দিতে চেষ্টা করে অথবা আমার সাথে অসম্মানজনক ব্যবহার করে কোন ধরনের ঝামেলা তৈরী করতে আমি সবাইকে কঠোর ভাবে নিষেধ করছি। বিষয়টি সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ হিসেবেই আমি সকলের নিকট প্রেরণ করছি।
আর আমার সাথে কথা বলতে হবে শুধুমাত্র বাংলায়। সরাসরি হোক বা দো-ভাষীর মাধ্যমে হোক। প্রিয় পাঠক, দেখুন, আমি কিন্তু একেবারেই সাধারণ মানুষ। আমি সৈয়দ বংশের। আমার মায়ের সূত্রে প্রাপ্ত এ লিংকটি ছাড়া আমার তেমন কোন ইলেম ও আমল নেই। বর্তমানে আমি কোন হাফেজও নই, আলেমও নই। এখন পর্যন্ত আমি মাদ্রাসায়ও পড়িনি। এ পর্যন্ত ধর্মীয় বিষয়ে নূরানী প্রশিক্ষণ ছাড়া আমার অন্য কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। অর্থাৎ এ বিষয়ে আমি প্রায় উম্মি।
দেখুন, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) লেখা-পড়া জানতেন না। তাঁর কাছে জীবরাইল (আঃ) ফেরেশতা আসতো। তিনি আল্লাহর অহী শুনাতেন। আর জীবরাঈল (আঃ) ফেরেশতা যে তাঁর নিকট আসতেন; নবী (সাঃ) তা গোপন রাখেননি। তাঁর সাহাবীদেরকে বলতেন এবং সাহাবীগণও মানুষদেরকে বলতো।
তাই আমিও চাই, আপনারা যদি বুঝতে পারেন যে, আমার সাথে জ্বীন রয়েছে, তাহলে আপনারাও তা মানুষদের নিকট প্রকাশ ও প্রচার করবেন। যাতে যারা বিষয়টি জানে না তাদের নিকট এবং হিন্দু, বোদ্ধ, খ্রিস্টান ইত্যাদি অমুসলিমদের নিকট খবরটি পোঁছে। কারণ, তারা আন্দোলিত না হলে, বা খবরটি যদি তারা নাই'ই শুনে, তখন তারাতো ইসলামকে বুঝার বা আমাকে বুঝতে পারার কোন সুযোগ পাবে না। তখন তারা দোযখের আগুনে জ্বললে, তবে আমরা দুনিয়ার জীবনে তাদেরকে দাওয়াত না দিয়ে বা বুঝিয়ে দেয়ার সুযোগ না দিয়ে আমরা কি পবিত্র কোরআনের আয়াত "তোমরা সৎ কাজে আদেশ দাও এবং অসৎ কাজে নিষেধ কর; এ আয়াতের প্রতি অবহেলা বা অমান্য করছি না?
ভালো করে বুঝতে চেষ্টা করুন, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ), তাঁর নিকট ফেরেশতা আসায়, আল-কোরআন আসায় অনেক অসাধ্যই সাধন করেছেন। তেমনি আমি মনে করি আমার কাছেও জ্বীন থাকলে অনেক বেশি না হোক কিছুটা হলেওতো করতে পারবো ইনশা'আল্লাহ। যা হয়তো মানুষ ও জ্বীন জাতীর জন্য অতীব প্রয়োজনীয়ও হতে পারে।
এমনওতো হতে পারে, (যদি) যেহেতু মহান রব আমার নিকট মুমেনা জ্বীন পাঠিয়েছেন, তাই আমাকে দিয়ে হয়তো এখন এমনও কাজ হতে পারে বা হবে, যা বর্তমানকার পৃথিবীর আর কাউকে দিয়ে হয়তো হবে না। যেহেতু এ জ্বীন রব কর্তৃক পাঠানো হয়েছে। এর কোন উদ্দেশ্য না থাকলে, রব কি তাহলে শুধু শুধু মুমেনা জ্বীন পাঠালেন? বা আসর করলো?
তাই আমি আশা করবো ও অনুরোধ করবো আপনারা চুপ না থেকে বিষয়টি প্রচার করুন এবং আমাকে উৎসাহ দিন। যেহেতু আমিও মানুষ। তাই যে কোন কাজ আরম্ভ করা ও সাকসেস হওয়ার জন্যে আপনাদের অভয়, সাহস ও উৎসাহ প্রদান, ইহা আমার একান্তই প্রয়োজন।
বর্তমানে আরম্ভ করা এ ফতোয়ার কিতাবটির ক্ষেত্রেও যদি আপনারা সাপোর্ট, সমর্থন ও উৎসাহ প্রদান করেন; তবে আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসা পেয়ে সহজেই কিতাবটির নির্ভূল রচনা, সঠিক কম্পিউটার কম্পোজ এবং সার্বিক নির্দেশনা দিয়ে এর সফল সম্পাদন ও যথাযথ প্রকাশ সাধন হয়তো সম্ভব হবে।
[ফেসবুক সহ অন্যান্য সোসাল মিডিয়ায় কমেন্টস না করে আপনার ইমেইল দিয়ে এ পোস্টের কমেন্টস সেকশনে মন্তব্য প্রদান করার জন্য অনুরোধ রইলো। যেহেতু সোসাল মিডিয়ার কমেন্টস সমূহ একসময় হয়তো হারিয়ে যেতে পারে।]
আপনার প্রচারের কারণে ও আমার মাধ্যমে যদি একটি লোকও আল্লাহর আজাব ও জাহান্নাম থেকে মুক্তিপায় বা ইসলাম কবুল করে, তাহলে এটি নিশ্চয় আমার-আপনার প্রাপ্তি।
এ কিতাবের খসড়া সংবিধান সমূহ আমার https://fatwaarif1.blogspot.com/ এ ওয়েবসাইটে এবং তা ভিডিও আকারে (প্রয়োজন মনে করলে ও সম্ভবপর হলে) আমার ইউটিউব চ্যানেল bandhan foundation education, এ ইউটিউব চ্যানেলে নিয়মিত প্রকাশ করা হবে এবং তা আমাদের মিডিয়া/প্ল্যাটফর্ম সমূহে প্রয়োজন ও উপযুক্ততা বা উপযোগিতা অনুযায়ী শেয়ার করা হবে ইনশা'আল্লাহ্।
আমাদের এ সকল মিডিয়া সমূহের প্রত্যেকটি প্ল্যাটফর্ম সাবস্ক্রাইব করে নিন অথবা লগইন হতে সংশ্লিষ্ট ঐ প্ল্যাটফর্মে একাউন্ট খুলে নিন এবং লাইক, ফলো, কমেন্টস ও শেয়ার করবেন। যাতে আমি কাজ চালিয়ে যেতে উৎসাহ পাই বা আগ্রহ না হারাই।
কোনটি আমাদের মিডিয়া আর কোনটি আমাদের মিডিয়া নয়, তা বুঝতে আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক লগো এবং আমার ছবি ফলো করবেন। এর যে কোন একটি দেখলেই সেটি আমাদের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বুঝে নিবেন। আপনাদের চিন্তে পারার সুবিধার্থে নিম্নে আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক লগো ও আমার ছবি প্রকাশ করলাম-
আবার আমাদের প্রতিষ্ঠানের নাম BANDHAN FOUNDATION বন্ধন ফাউন্ডেশন।
গুগল থেকে এ প্রতিষ্ঠানটি খুঁজে পেতে, গুগলে প্রতিষ্ঠানটির উপরোক্ত নাম লিখে সার্চ করুন।
দেখুন যে কোন কাজ পরামর্শ ভিত্তিক করতে পবিত্র আল কুরআন ও আল হাদীস আমাদেরকে শিক্ষা বা নির্দেশ বা পরামর্শ প্রদান করেছে। আর ইসলামী সংবিধান প্রণয়ন মুসলমানদের জন্য এতোই গুরুত্বপূর্ণ যে, ইহা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য না হলেও সমাজের কিছু কিছু মুসলমানের জন্য এ পরামর্শ ভিত্তিক ফতোয়া প্রণয়ন আমার মতে ওয়াজিবে কেফায়া হিসেবেই সাব্যস্ত হবে।
অবশ্য এ বিষয়ের নির্দিষ্ট সময়ে এ বিষয়টি নিয়েও আপনারা পরামর্শ প্রদান করবেন বলে আশা করি।
(ফতোয়ায়ে আরিফ এর লিখকের বাণী এ পোস্টটি শেয়ার কবা যেতে পারে)
যে কোন কাজ পরামর্শের ভিত্তিতে সম্পাদন করা এবং তা গোপনে না করার বিষয়ে অনেক গুলো পবিত্র কোরআনের আয়াত ও হাদীসের বাণী রয়েছে। যেমন-
৪২ : ৩৮
আর যারা তাদের রবের আহবানে সাড়া দেয়, সালাত কায়েম করে, তাদের কার্যাবলী তাদের পারস্পরিক পরামর্শের ভিত্তিতে সম্পন্ন করে এবং আমি তাদেরকে যে রিয্ক দিয়েছি তা থেকে তারা ব্যয় করে। আল-বায়ান
নিশ্চয় আপনারা বুঝতে পেরেছেন, মুসলমানদের এ ফতোয়ার কিতাব লিখতে সকলের পরামর্শের প্রয়োজন আছে কিনা!
যদি কোন অমুসলিম এ পরামর্শ কাজে অংশ নিতে চান, তবে এখতিয়ার ও প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী অবশ্যই অংশ নিতে পারবেন এবং আমরা মুসলমানগণ এতে অবশ্যই খুশী হবো। কারণ আমি আগেও লিখেছি এ কিতাবটি শুধু মুসলিমদের কল্যাণে লিখা হচ্ছে না।
তবে এ পোস্ট পাবলিশের পরবর্তী ২ বছর বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা থাকার কারণে ও অন্যান্য আরো বিবিধ কারণে ম্যানুয়ালী বা সামনা-সামনি নেগেটিভ কমেন্টস বা রিকমেন্টস সমূহ বা ফতোয়ার বিষয়বস্তু ওপেন করে বাস্তবিক বা মৌখিক ভাবে এর নেগেটিভলি কথাবার্থা সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। দয়া করে কেউ এ ধরনের কোন ব্যবহার আমার সাথে করবেন না।
হ্যাঁ, কেউ নেগেটিভলি কোন পরামর্শ দিতে চাইলে সম্মান ও ভদ্রতা বজায় রেখে আমাকে একদিকে ডেকে আলাদা ভাবে দিবেন এবং আমি এটিই চাই।
তাহলে আপনার কাছে আমার লিখিত ফতোয়া যদি সঠিক বলে মনে হয়, তবে আমাকে অনুপ্রাণিত করতে সম্মান ও সাধুবাদ বজায় রেখে পজিটিভ সিগনাল দিন বা স্থান কাল পাত্র অনুযায়ী মুখে বলুন বা কৌশলে বলুন বা যে কোন ভাবে ইঙ্গিত দিয়ে আমাকে বুঝিয়ে দিন। এতে আমি খুশি হবো।
এ কিতাবের প্রত্যেকটি ফতোয়া বা ধারা বা উপধারা অথবা প্রত্যেকটি মাসআলা বা আইন ও এ কিতাবের প্রত্যেকটি বিষয়, ইনশা'আল্লাহ দু'টি ধাপে চুড়ান্ত করা হবে, যেমন-
১। ১ম ধাপে প্রত্যেক মাসআলা বা এ কিতাবের সকল বা যে কোন বিষয় বিশ্বের যে কোন সাধারণ মানুষ বা মুসলমানের সাথে কমেন্টস এর মাধ্যমে যাতে পরামর্শ করা যায় এ লক্ষ্যে আমাদের মিডিয়া সমূহে শেয়ার করা। এভাবে করে সকল মানুষের সাথে পরামর্শ করে (যারা কমেন্টস করবেন) প্রত্যেকটি ধারা বা উপধারা বা প্রত্যকটি বিষয় সাধারণ ভাবে চূড়ান্ত করা। তবে কমেন্টস করতে হবে, শুধুমাত্র প্রধান প্রধান ভাষা সমূহের মাধ্যমে, যে ভাষা সমূহকে বাংলায় রুপান্তর করা যাবে শুধুমাত্র সেগুলো দ্বারা। আর আমি রিকমেন্টস বা কমেন্টস করবো শুধুমাত্র বাংলায়।
২। উম্মতের আলেম-উলামাদের মধ্য থেকে বিশেষ বিশেষ গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদেরকে দাওয়াত দিয়ে উম্মতের ইজমা হিসেবে শুধুমাত্র সাধারণ ভাবে নির্দিষ্টকৃত এ কিতাবের প্রত্যেকটি মাসআলা বা প্রত্যেকটি বিষয়কে চূড়ান্ত করা। এ অনুষ্ঠানে দু'একজন বিশেষ বিশেষ অমুসলিম ভাই/বোন গণ আমন্ত্রিত হবেন। সম্পূর্ণ কিতাবটি প্রস্তুত ও প্রিন্টেড এবং স্বাক্ষর হলে, এর প্রত্যেকটি মাসআলা ও বিষয় সমূহ বন্ধন ফাউন্ডেশনের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল bandhan foundation media এ চ্যানেলে প্রদর্শিত হবে এবং পৃথিবীর কয়েকটি ভাষায় তা সহজ-সরল ভাবে বুঝিয়ে দেয়া হবে।
এছাড়া বইটি ফাইনালি ভাবে প্রকাশিত হলে, তখন শুধু এ বইটির জন্য নতুন একটা ওয়েবসাইট ও একটি অফলাইন এপস তৈরী করে এ কিতাবের প্রত্যেকটি ধারা ও উপধারাকে এবং প্রত্যকটি বিষয়কে বুঝিয়ে আলাদা আলাদা পোস্ট করা হবে। এবং এমন ব্যবস্থা রাখা হবে, যাতে মোবাইল/কম্পিউটার প্রভৃতি দিয়ে অতি সহজে (ও সম্ভাব্য কী-ওয়ার্ড ও এর আগাম উত্তর সেটিং বা পাবলিস্ট করে) অনলাইন ও অপলাইন উভয় ভাবে মানুষ এ কিতাবের যে কোন কিছু গুগলে সার্চ দিয়ে বা অফলাইন এপসের মাধ্যমে সহজে পড়তে পারে সে ব্যবস্থা রাখা হবে।
১ম ধাপের প্রত্যেকটি মাসাআলা বা প্রত্যেকটি বিষয় সাধারণের পরামর্শের জন্য এ ব্লগার সাইট এবং সোসাল মিডিয়ায় পাবলিস্ট করা হলে কমপক্ষে তা এক সপ্তাহ রিভিউ আকারে মানুষের পরামর্শের জন্য কমেন্টস ও রিকমেন্টস এর জন্য থাকবে। এতে ইনশা'আল্লাহ আমি সকল কমেন্টস এর উত্তর প্রদান করবো। প্রত্যেকটি কমেন্টস এর উত্তর প্রদানের পর, আর কমেন্টস না আসলে তখন পোস্টটি আপডেটের পর এটি ফাইনাল বলে বিবেচিত হবে এবং তখন ২য় ধাপের মিটিংয়ে উত্তোলনের উদ্দেশ্যে, ১ম ধাপে প্রকাশিত এ পোস্টটি fatwaarif.blogspot.com এ সাইটে পোস্ট করা থাকবে। এ সাইটের পোস্ট সমূহেও পৃথিবীর যে কেউ কমেন্টস করতে পারবেন। কিন্তু উত্তর দেয়া না দেয়া লিখকের ইচ্ছাধীন হবে। তবে কমেন্টস সমূহ লিখক ইচ্ছে করলে ২য় ধাপে উত্তোলন করবেন।
(ফতোয়ায়ে আরিফ এর লিখকের বাণী এ পোস্টটি শেয়ার কবা যেতে পারে)
তো সকলকে জানিয়ে রাখি যে, বর্তমানে আমার এ ফতোয়ার কিতাবটি খসড়া বা রাফ আকারে লিখা ও পাবলিস্ট করা হচ্ছে এবং ইহা রাফ আকারেই চলমান থাকবে ইনশা'আল্লাহ।
এটি বই আকারে ম্যানুয়ালি প্রকাশ করার আগ পর্যন্ত এর যে কোন কিছুতে এডিট কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। সম্মানিত আলেম-উলামা, জ্ঞানী-গুণী ও মুসলিম ভাইদেরকে এ কিতাবের প্রত্যেকটি মাসআলার বিষয়ে পজিটিভ ও নেগেটিভ (যদি থাকে) মন্তব্য ও সু-পরামর্শ প্রদান করার জন্য বিনীত ভাবে অনুরোধ করছি।
এ কিতাবটির মূল ভাষা হবে বাংলা।
এছাড়া কিতাবটি প্রকাশিত হওয়ার পর যে কেউ ইচ্ছে করলে এর যে কোন আইন সোসাল মিডয়ায় প্রকাশ ও প্রচার করতে পারবেন, তবে এ ক্ষেত্রে ঐ প্রচারককে সংশ্লিষ্ট ঐ ধারার পরিচয় নং, সূত্র আকারে লিপিবদ্ধ করতে হবে।
সূত্র বিহীন এ কিতাবের ছোট্ট একটি বাক্যাংশের প্রকাশও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে সাব্যস্তকৃত হবে।
এ বিষয়ক আইন বা ধারা/উপধারা সমূহ এ কিতাবের ভিতরে পূর্ণাঙ্গ রুপে থাকবে।
এখানে শুধু বইটি কেমন হবে বা হতে পারে তার সামান্য একটু পরিচয় বিবৃত করলাম।
সকলে ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। সুন্দর থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।
এ পোস্টের ট্যাগ সমূহ: ফতোয়ায়ে আরিফ, ফতোয়ায়ে আরিফ এর লিখকের বাণী, fatwae arif er likhoker bani



0 Comments